আজারবাইজানের রেলপথ হল মানুষ এবং পণ্য পরিবহনের প্রধান মাধ্যম। রেলওয়ে ব্যবস্থা যাত্রী পরিবহনের 25% এবং মালবাহী যানবাহনের 40% এর বেশি। রেলপথটির দৈর্ঘ্য প্রায় 2,200 কিমি। রাশিয়া থেকে ইরান পর্যন্ত একটি রেল লাইন আজারবাইজান অঞ্চল দিয়ে চলে।
আজারবাইজান রেলওয়ে সিজেএসসি দেশের রেলওয়ের জাতীয় অপারেটর। এই উদ্যোগটি আজারবাইজানের রাজ্য রেলওয়ের ভিত্তিতে 2009 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
রেল সেক্টরের উন্নয়ন
ককেশাসে মালবাহী যাতায়াত এবং দৈর্ঘ্যের দিক থেকে দেশের রেলপথ সবচেয়ে বড়। আজ অবধি, প্রায় 1278 কিমি ট্র্যাক বিদ্যুতায়িত হয়েছে। আজারবাইজানের রেলপথ একটি উন্নত এবং বিস্তৃত নেটওয়ার্কের প্রতিনিধিত্ব করে। সব লাইনেই যাত্রী পরিবহন হয়। আজারবাইজান রেল ব্যবস্থার জন্য ট্রানজিট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশজুড়ে শুধু অভ্যন্তরীণ রুটের ট্রেনই নয়, পণ্য পরিবহনের ট্রেনও চালানো হয়। এগুলি তুরস্ক, ইরান এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে পণ্য পরিবহনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আজারবাইজানের রেল সেক্টর ক্রমাগত উন্নয়নে রয়েছে। দেশের রেলপথের আধুনিকীকরণের প্রধান নির্দেশনা রয়েছে:
- বিকল্প কারেন্টে স্যুইচ করা, যা শক্তি খরচ কমাবে এবং আরও শক্তিশালী লোকোমোটিভ চালু করবে;
- উচ্চ গতির যোগাযোগ ব্যবহার;
- গতি অপ্টিমাইজেশান, মহাসড়কের থ্রুপুট বৃদ্ধি;
- সেবার মান উন্নত করা।
যাত্রীবাহী ট্রেন
আজারবাইজান একটি ছোট অঞ্চল দখল করে, তাই, স্থল যোগাযোগ এখানে বাতাসের চেয়ে উন্নত। বাসের তুলনায় রেলওয়ে জনপ্রিয়তার দিক থেকে নিকৃষ্ট। যাইহোক, ট্রেনে আপনি রাজধানী থেকে দেশের যে কোন বড় শহরে যেতে পারেন।
আন্তর্জাতিক গুরুত্বের ট্রেনগুলি আজারবাইজান জুড়ে নিয়মিত চলে। যাত্রীবাহী ট্রেনগুলি জর্জিয়া, রাশিয়া এবং অন্যান্য রাজ্য থেকে আসে। বাকু - মস্কো, বাকু - আস্ত্রখান, বাকু - মাখাচাকলা ইত্যাদি আন্তর্জাতিক রুটগুলি জনপ্রিয়।সুমগাইত, গঞ্জা, হোভসান বসতি ইত্যাদিতে লোকাল ট্রেন চলাচল করে। গুরুত্ব, যার দৈর্ঘ্য 100 কিমি। এই প্রকল্পটি আজারবাইজান এবং তুরস্কের মধ্যে রেলপথ নির্মাণের ব্যবস্থা করে।
ট্রেনের সময়সূচী এবং শুল্ক আজারবাইজানি অপারেটরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে দেখা যাবে: rail.gov.az/index/az। ট্রেনের টিকিট সস্তা। বাকু-গঞ্জা রুটে ট্রেনের একটি বগিবাহী গাড়ির একটি আসনের দাম প্রায় 7 ডলার। অগ্রিম টিকিট কেনার পরামর্শ দেওয়া হয়, কারণ ট্রেনগুলি প্রায়ই উপচে পড়ে। রেল স্টেশনে টিকিট অফিসে টিকিট বিক্রি হয়।