নীল মসজিদ (সুলতান আহমেদ জনি মসজিদ) (সুলতান আহমেত কামি) বর্ণনা এবং ছবি - তুরস্ক: ইস্তাম্বুল

2024 লেখক: Graham Hoggarth | [email protected]. সর্বশেষ পরিবর্তিত: 2024-01-09 10:38

আকর্ষণের বর্ণনা

নীল মসজিদ ইস্তাম্বুলের প্রথম বৃহত্তম এবং অন্যতম সুন্দর মসজিদ হিসাবে বিবেচিত হয়। নীল মসজিদ শুধু ইসলামী নয়, বিশ্ব স্থাপত্যেরও শ্রেষ্ঠতম নিদর্শন। মসজিদটি মারমারা সাগরের তীরে শহরের historicalতিহাসিক কেন্দ্রে অবস্থিত। নীল মসজিদের বিপরীতে হাগিয়া সোফিয়া মসজিদ।

নীল মসজিদ ইস্তাম্বুলের অন্যতম প্রতীক। এটি 10 হাজার লোকের থাকার ব্যবস্থা করে। আজ একটি traditionতিহ্য রয়েছে: এখানেই মক্কা যাওয়ার আগে মুসলিম তীর্থযাত্রীরা জড়ো হয়।

নির্মাণের ইতিহাস

অটোমান সাম্রাজ্যের সময়, আহমেদ আমি ইরান এবং অস্ট্রিয়ার সাথে একবারে দুটি যুদ্ধ চালিয়েছিলাম। অস্ট্রিয়ার সাথে যুদ্ধ ঝিটভেটরোক শান্তি চুক্তি (11 নভেম্বর, 1606) স্বাক্ষরের মাধ্যমে শেষ হয়েছিল, যা অটোমানদের বাধ্য করেছিল অস্ট্রিয়া থেকে বার্ষিক শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এবং হাবসবার্গের রাজকীয় শিরোনামকে স্বীকৃতি দিতে। এই পরাজয়, অন্যান্য ঘটনার সংমিশ্রণে, তুরস্কের কর্তৃত্বের পতন ঘটায়, তাই আহমদ আমি আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার এবং একটি মসজিদ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিই। মসজিদের নির্মাণ খুব কাজে আসে, যেহেতু 40 বছর ধরে এখনও নতুন কোন মসজিদ নির্মিত হয়নি। 1609 সালের আগস্ট মাসে মসজিদটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। আখমেত -এর আগে শাসনকারী সুলতানরা যুদ্ধে প্রাপ্ত অর্থ ব্যবহার করে মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। আখমেতকে কোষাগার থেকে টাকা নিতে হয়েছিল। আজ পর্যন্ত, টপকাপি প্রাসাদের লাইব্রেরিতে মসজিদ নির্মাণের 6 টি খণ্ডের বর্ণনা রয়েছে।

টপকানি প্রাসাদের কাছে একটি মসজিদ নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। নির্মাণ শুরুর আগে, হিপ্পোড্রমে প্রাথমিক অটোমান এবং বাইজেন্টাইন আমলের বেশ কয়েকটি ভবন ধ্বংস করা হয়েছিল। মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন স্থপতি সেদফকার মেহমেত আগা, একজন ছাত্র এবং স্থপতি সিনানের প্রধান সহকারী। মসজিদটি দুটি শৈলীতে তৈরি: ক্লাসিক্যাল অটোমান এবং বাইজেন্টাইন। জনশ্রুতি আছে যে সুলতানের আদেশ অনুসারে স্থপতি 4 টি সোনার মিনার নির্মাণ করার কথা ছিল, কিন্তু ফলস্বরূপ 6 টি মিনার নির্মিত হয়েছিল।

মসজিদের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক সাজসজ্জা

মসজিদটি 7 বছর ধরে নির্মাণাধীন ছিল এবং সুলতানের মৃত্যুর এক বছর আগে (1616) এটি প্রস্তুত ছিল। নির্মাণের উপকরণ ছিল পাথর এবং মার্বেল। অনেক (20,000 এরও বেশি) সাদা এবং নীল হাতে তৈরি সিরামিক নমুনাগুলি সজ্জা হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল, তাই মসজিদের নাম নীল রাখা হয়েছিল। মসজিদের কেন্দ্রীয় হলের আয়তন 53x51 মিটার, গম্বুজের ব্যাস যা এই হলটি জুড়ে আছে 23.5 মিটার এবং উচ্চতা 43 মিটার। মসজিদের গম্বুজটি চারটি বিশাল স্তম্ভের উপর স্থাপিত, যার ব্যাস 5 মিটার। একটি সাদা পটভূমিতে বিভিন্ন রঙের অলঙ্কার তৈরি করা হয়। তৈরি করা গণনা অনুযায়ী, টিউলিপের চিত্রের 50 টিরও বেশি বৈচিত্র নিদর্শনগুলি সম্পূর্ণ করতে ব্যবহৃত হয়েছিল। মসজিদের মেঝেতে কার্পেট রয়েছে। মসজিদে প্রচুর আলো আছে, যা 260 জানালা দিয়ে আসে। মসজিদ নির্মাণের সময়, গ্লাস বসানো হয়েছিল, ভেনিস থেকে আনা হয়েছিল, কিন্তু পরে এই চশমাগুলি প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল।

নামাজের কক্ষটি আকর্ষণীয় - মিহরাব - মার্বেল থেকে খোদাই করা। তার উপর একটি কালো পাথর স্থাপন করা হয়েছে, যা মক্কা থেকে আনা হয়েছিল। মিহরাবের কাছে একটি মিনবার আছে - যে জায়গাটিতে ইমাম খুতবা পাঠ করেন। ভবনের পশ্চিম অংশে অবস্থিত মসজিদের একটি বিশেষ প্রবেশদ্বার রয়েছে। এই প্রবেশপথের উপর একটি চেইন ঝুলছে। প্রবেশদ্বারটি সুলতানের উদ্দেশ্যে ছিল, যিনি ঘোড়ায় চড়ে মসজিদের আঙ্গিনায় প্রবেশ করেছিলেন। প্রবেশদ্বারে, সুলতানকে বাঁকতে বাধ্য করা হয়েছিল, কারণ চেইনটি ঝুলছিল। এই কর্মের অর্থ আল্লাহর সামনে সুলতানের তুচ্ছতা।

নীল মসজিদের মিনার

মসজিদের চারটি মিনার তিনটি বারান্দায় সজ্জিত, আরো দুটি মিনার - দুটি। প্রাথমিকভাবে, ১ bal টি বারান্দা নির্মিত হয়েছিল - এটি আহমদ আই সহ অটোমান সুলতানদের সংখ্যা। একটু পরে, আরও দুটি বারান্দা সম্পন্ন হয়েছিল, এই কারণে যে, আহমদ I এর পুত্রদেরও সুলতান হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল। মসজিদের কাছে একটি মাজার, যেখানে আহমদ প্রথমকে সমাধিস্থ করা হয়েছে, তার স্ত্রী এবং ছেলেরা।মসজিদের উত্তর -পূর্ব অংশে সুলতানের মণ্ডপ রয়েছে, আজ এখানে কার্পেট মিউজিয়াম সজ্জিত।

নীল মসজিদের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর দেখা গেল যে মিনারের সংখ্যা এবং ছয়টি ছিল মক্কার মসজিদ আল-হারাম মসজিদের মিনারের সংখ্যার সাথে মিলে যায়। এই বিষয়ে, সপ্তম মিনারটি সম্পন্ন করতে হয়েছিল। একটি মজার ঘটনা হল যে 1953 থেকে 1976 পর্যন্ত 500 লায়ারের একটি নোট প্রচলিত ছিল, যার উপর নীল মসজিদের চিত্র ছিল।